বৈশাখ আসার আগেই চলে এসেছে গ্রীষ্ম,
যেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অবতীর্ণ ক্রুব্ধ ভীষ্ম।
দিনের শুরুতেই আসে স্নিগ্ধ,শীতল সকাল;
যেন পিতা শান্তনুর কোলে দেবব্রতের বাল্যকাল।
বেলা বাড়তেই রোদরূপী তার ক্রোধের কারণ,
দাশরাজ কন্যা সত্যবতীর সৎ-মা হয়ে আগমন।
বাইরে বেরোলেই গা জ্বালানো গরম বাতাস,
যেন কঠিন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেবব্রতের বুকের দীর্ঘশ্বাস।
ভাস্বর সূর্যকিরণে যখন তেতে উঠে দুপুর,
মনে হয় দ্যূতক্রীড়ায় মেতে উঠে হস্তিনাপুর।
কুঠার হাতে মানুষের বৃক্ষরূপী দ্রৌপদীর অপমান,
প্রতিশোধ নিতে গ্রীষ্ম চালাচ্ছে তার অগ্নিবাণ।
দেখে ভীষ্মবেশী গ্রীষ্মের সংহারকারী ভীষণ রূপ,
প্রকৃতিও নিজের অসহায়ত্বে লজ্জিত হয়ে চুপ।
শুনে গ্রীস্মের ধনুক থেকে প্রত্যঞ্চার কম্পন,
মেঘেরা পালিয়ে গিয়ে করে আছে আত্মগোপন।
কবে নিজে নিম্নচাপ হয়ে আসবে অর্জুন,
বৃষ্টি শিখন্ডীকে নিয়ে করবে গ্রীষ্মকে খুন।
কেউ চাইলেও করতে পারবে না কিস্যু,
যতক্ষণ পর্যন্ত না হয় গ্রীষ্মের ইচ্ছামৃত্যু।