বাবা জীবন, ও আমার বাবা জীবন;
আমার মেয়েকে বিয়ে করে আছো কেমন?
জানি সে তোমার সুখ-শান্তি নিয়েছে কেড়ে,
তাই তোমায় খাওয়াবো নিজের হাতে বেড়ে।
জানি বাড়িতে তোমার ঠিকমতো হয়না খাওয়া,
এসো তালপাতার পাখা দিয়ে করি হাওয়া।
কি বলবো সে তো আমারই বেটি,
তোমার জন্য ভেজেছি কাতল মাছের পেটি।
জানি সে করে তোমার সঙ্গে বাড়াবাড়ি,
তাই তোমার জন্য বানিয়েছি চিংড়ি মালাইকারি।
যাতে তুমি করতে না পারো নালিশ,
তোমার জন্য তৈরি করেছি সর্ষে ইলিশ।
জানি সে তোমার পরিবার করেছে ধ্বংস,
তাই তোমার জন্য রেঁধেছি খাসির মাংস।
জানি সে করেছে তোমার জীবন মাটি,
তাই চুষে খাও চাটনির আমের আঁটি।
জানি সে সারাদিন ধরে করে হইচই,
তাই পাতে দিলাম রসগোল্লা আর দই।
জানি সে ঝালাপালা করেছে তোমার কান,
তাই খাওয়া শেষে খাও সাঁচি পান।
জানি সে তোমার মাথা খায় রোজ,
তাই তোমার জন্য আয়োজন করেছি ভুরিভোজ।
তোমার জন্য শার্ট প্যান্ট কিনেছি দামী,
তোমাকে শুধু করতে হবে তার গোলামী।
সত্যি কথা বলছি এটা একটা ঘুষ,
যাতে তুমি সারাবছর তাকে রাখো খুশ।
ভালো করে তাকিয়ে দেখো তোমার শ্বশুর,
আমার সামনে কিভাবে হয়ে থাকে মেকুর।
ব্যাটাও তো সহ্য করছে আমার অত্যাচার,
তুমি কেন চাইতে যাবে তার বিচার?
জানি সে করে তুলেছে তোমার দমবন্ধ,
কি আর করবে তোমার কপাল মন্দ।
আমি জেনেশুনেই তোমাকে এমন মেয়ে দিয়েছি,
কি করতাম আমি তাকে পেটে নিয়েছি।
মানছি আমি তাকে মানুষ করতে পারিনি,
কিন্তু তার বেতনের টাকার লোভ ছাড়িনি।
তুমি যদি দুঃখে দাও গলায় দড়ি,
আমার কি? আমি মা নই, শাশুড়ি।
তোমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে জামাইষষ্ঠী,
আমার কাছে সেটা হচ্ছে জামাইর অন্ত্যেষ্টি।