কাবেরী যখন খুলে তাহার কবরী,
যেন দিবসে নামিয়া আসে বিভাবরী।
সহাস্য বদনে সরোবরে অবগাহন শেষে,
সে ফিরিয়া যায় উন্মুক্ত কেশে।
হস্তে ধারণ করা গামছার ঝাপটায়,
সে তাহার সিক্ত কেশরাশি শুকায়।
খাঁটি নারিকেল তৈল করিয়া মর্দন,
সে করে তাহার কবরী বন্ধন।
দেখিয়া তাহার ঘন কৃষ্ণবর্ণের কেশ,
মনে হয় গড়িয়া তুলি উপনিবেশ।
সে যে কেশবতী কুমারী ষোড়শী,
যদি হইতে পারতাম তাহার পরশি।
সে যে কেশের আশীর্বাদ ধন্য,
প্রদর্শন করে তাহার রূপের লাবণ্য।
ঐ ভুবনমোহিনী কেশ যাহার অহংকার,
তাহার কি দরকার ষোলো শৃঙ্গার?
সে যখন চড়িয়া বেড়ায় বজরা,
কবরীতে পরিধান করে পুষ্পের গজরা।
অপরাহ্ণে যখন সে খেলে লুকোচুরি,
অকস্মাৎ খসিয়া পড়ে তাহার কবরী।
যদি হইতাম তাহার সখী শবরী,
শক্ত করিয়া বাঁধিতাম তাহার কবরী।