উভয়েরই জন্মস্থান হলো শিল্পের সূতিকাগার,
একজন কবি আর একজন মূর্তিকার।
কবির নিজের কবিতা দিয়েই পরিচয়,
মূর্তিকারের মূর্তি দিয়েই উপার্জন হয়।
কবি কখনো যথাযোগ্য সম্মান পায়না,
মূর্তিকার মূর্তির ন্যায্য মূল্য পায়না।
কবি কল্পনায় বাঁধে ভাষার আঁটি,
মূর্তিকার সংগ্রহ করে মূর্তির মাটি।
কবি শব্দের ছন্দ নিয়ে খেলে,
মূর্তিকার মূর্তির কাঠামো বানিয়ে ফেলে।
কবি নিয়ন্ত্রণ করে কবিতার প্রকৃতি,
মূর্তিকার নির্ধারণ করে মূর্তির আকৃতি।
কবির কবিতার প্রতি প্রচন্ড নিষ্ঠা,
মূর্তিকার করে মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা।
কবির মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতার দেখা নেই,
মূর্তিকারের প্রকৃত ক্রেতার দেখা নেই।
কবির কবিতা সহজে হয়না স্বীকৃত,
মূর্তিকারের মূর্তি থেকে যায় অবিক্রীত।
কবি তার কবিতা ছাড়া অপূর্ণ,
মূর্তিকারের স্টুডিও মূর্তি ছাড়া শূন্য।