কবিতা আমার কাছে নয় কাল্পনিক,
সে আমার বেঁচে থাকার টনিক।
যেদিন থেকে তাকে পেয়েছি পাশে,
মেতে উঠেছি সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
সেই কবে তার সঙ্গে পরিচয়,
এটা কোন রূপকথার গল্প নয়।
আমি ছিলাম একা আর ছন্নছাড়া,
সে যে আমায় দিয়েছিল সাহারা।
প্রথমবার লিখেছি একটা ছিমছাম ছড়া,
বিষয়বস্তুটা ছিল বাস্তবিক,নয় মনগড়া।
এরপর যখনই লেখার ইচ্ছা হতো,
সে নিজেই আমায় পথ দেখাতো।
যখন কলম দিয়ে কাগজে লেখতাম,
তার পুরো মুখমণ্ডলটা যেন দেখতাম।
লেখতে গিয়ে প্রয়োজন হলে বিন্দুর,
ভাবতাম তার কপালে দিয়েছি সিন্দুর।
তারপর যখন একটু বড় হলাম,
আরো বেশী তার প্রেমে পড়লাম।
মনে ছিল দ্বিধা আর দ্বন্দ্ব,
কি করে মেলাবো তার ছন্দ।
একদিন সেও হয়ে উঠলো যুবতী,
শব্দের অলংকার পরে হলো রূপবতী।
ভাব আর ভাষার ঘটিয়ে সমন্বয়,
মোরা দুজনের হলো শুভ পরিণয়।
বাসর রাতের ফুলশয্যায় করে নিষেক,
মোদের চার হাত হলো এক।
তার সঙ্গে করছি সোনার সংসার,
নিয়েছি তাকে রচনা করার ভার।
কখনো অভিমানে আমাকে দিয়ে আড়ি,
সে চলে যায়নি বাপের বাড়ি।
তাকে লিখতে লিখতে হয়েছি সিদ্ধহস্ত,
বড় সুখেই কাটছে মোদের গার্হস্থ্য।