হায়রে মোর এত সাধের কেশ!
তুমি কেন হইয়া যাইতেছো নিরুদ্দেশ?
তুমি ছিলে মোর গর্বের প্রতীক,
আজকাল ঝরিয়া পড়িতেছো যে অত্যধিক।
যখন হেরি মোর ফাঁকা কেশপুর,
অন্তরে বাজিয়া উঠে বেদনার সুর।
পত্রপত্রিকায় দেখিয়া কেশ পণ্যের বিজ্ঞাপন,
কিনিয়া আনিয়া করিয়াছি সবকিছু প্রলেপন।
পকেট খানা হইয়া গিয়াছে শূন্য,
কিন্তু মস্তক হইলনা কেশে পূর্ণ।
সুন্দরীরা আর ফিরিয়া তাকায় না,
তাই আমি দেখিতে চাহিনা আয়না।
অবলোকন করিয়া প্রেয়সীর কেশ বিন্যাস,
ইচ্ছা করে লইয়া ফেলিতে সন্ন্যাস।
উপভোগ করিয়া তাহার অপরূপ অলক,
কিছুতেই ফেলিতে পারিনা চক্ষুর পলক।
সে খুলিয়া দিলে তাহার কবরী,
দিবাভাগে ক্রমশ: নামিয়া আসে বিভাবরী।
পূর্ণিমার শুক্লপক্ষ হইয়া উঠে অমাবস্যা,
কেশ ছড়াইয়া সে হয় অসূর্যম্পশ্যা।