অবশেষে ছুটিয়ে আমার কালঘাম,
কিছুটা কমলো লঙ্কার দাম।
উপভোগ করতে লঙ্কার ঝাল,
হেঁসেল হয়ে উঠেছিল উত্তাল।
বৃষ্টিতে ফসল নষ্টের বাহানা,
দিয়ে বাড়লো লঙ্কার দামখানা।
যখন করতে যেতাম উদরপূর্তি,
অর্ধাঙ্গিনী ধারণ করতো রণমূর্তি।
বলতাম শুনে তার বকাবকি,
"চিলি সস আনবো নাকি?"
শুনেই সে করতো চিৎকার,
বলতাম,"আনবো মরিচের আচার?"
গুঁড়ো মরিচ খেয়ে তারপর,
একদিন দিলো পেটে কামড়।
আমিও নিলাম কঠিন পণ,
লঙ্কা ছাড়া খাবো আজীবন।
মনে পড়লো আদার নাম,
শুনলাম আড়াইশো টাকা কিলোগ্রাম।
যখন করতে যেতাম বাজার,
তাকাতো না লঙ্কার দোকানদার।
আগে যে ডাকতো স্যার,
সে তখন বড় জমিদার।
ব্যাটা ভাব দেখাতো এমন,
যেন স্বয়ং লঙ্কাপতি রাবণ।