মা আর বৌমা উভয়েই নারী,
দু'জনকে বর্ণনা করি যতটা পারি।
মায়ের ডাকে থাকে অন্ধ মোহ,
বৌমার ডাকে থাকে সবসময় বিদ্রোহ।
মায়ের রান্নায় থাকে ভালোবাসার ছাপ,
বৌমার রান্নায় থাকে দায়সারা ভাব।
মায়ের কাজকর্মে প্রকাশ পায় দায়বদ্ধতা,
বৌমার কাজকর্মে ধরা পড়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।
মা পরিবারে নিজেকে করে উজাড়,
বৌমা করে দেয় সবকিছু ছারখার।
মা নিজেকে ভাবে বাড়ির সেবিকা,
বৌমা নিজেকে এভাবে বাড়ির পরিচারিকা।
মা সংসারকে ভাবে নিজের কর্মভূমি,
বৌমা সংসারকে ভাবে কুরুক্ষেত্রের রণভূমি।
মা কখনো নেয় না অবসর,
বৌমা কখনো কমায় না কণ্ঠস্বর।
মা সবাইকে ভাবে নিজের আপন,
বৌমা সবার কাছে করে গোপন।
মা গৃহলক্ষ্মী হয়ে সাজায় ঘর,
বৌমা শ্বশুরবাড়িতে বাপের বাড়ির গুপ্তচর।
মাকে বকলে নেই কোন সমস্যা,
বৌমাকে বকলে হয় গার্হস্থ্য হিংসা।
মা নিজের ইচ্ছাকে দেয় বিসর্জন,
বৌমার চোখে যা বধূ নির্যাতন।