হে পুরুষ মানুষ,
খুব তো উড়ালি অহংকার আর আত্মতুষ্টির ফানুস।


যেদিন জন্ম নিয়েছিস মানবশিশু হয়ে,
থেকেছিস মায়ের কোলের নিরাপদ আশ্রয়ে।
হামাগুড়ি দিতে দিতে যখন দাঁড়ালি হয়ে সোজা,
তোর পিঠে চাপানো হল বইভর্তি ব্যাগের বোঝা।
তোর শৈশবের স্বাধীনতা গেল কৈ?


যেদিন ভর্তি হলি শহরের নামীদামী স্কুলে,
কাকভোরে সবাই তোকে দিল বাসে তুলে।
ফিরতে ফিরতে যখন হল অনেক বেলা,
এল এবার গৃহশিক্ষকের বাড়ী যাবার পালা।
তোর কৈশোরের আনন্দ গেল কৈ?


যেদিন স্কুলের গণ্ডী টপকে কলেজে জমালি পাড়ি,
প্রতিযোগিতার দৌড়ে আহার-নিদ্রাকে দিলি আড়ি।
কোন অচেনা মৃগনয়নীর প্রথমদর্শনজনিত অনুরাগ,
পড়াশুনার স্বার্থে করতে হয়েছে তোকে পরিত্যাগ।
তোর যৌবনের কামনা-বাসনা গেল কৈ?  


যেদিন ছাত্রজীবনশেষে করলি কর্মজীবনের ভিত্তিস্থাপন,
পরিবার হয়েছে পর আর কর্মস্থলকে করেছিস আপন।
দাম্পত্যের সাতপাঁকে নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে,
নীরবে নিভৃতে চলেছিস চোখের জল ঝরিয়ে।
তোর সংসারের সাধ পূর্ণ হল কৈ?


আজীবন ভাজলি শুধু অতৃপ্তির উনুনে বিন্নি ধানের খৈ,
মরা তুই বাঁচলি কৈ?