একদিন শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ,
চিরতরে হয়ে যাবে নিস্তব্ধ।
নিভিয়ে দিয়ে জীবনের আলো,
মৃত্যু হয়ে ওঠে জমকালো।
যখন কেউ হয় খুন,
খবর পেয়ে যায় শকুন।
চারিদিকে ঘুরে বেড়ায় চিল,
লেগে যায় মৃত্যুর মেহফিল।
চামচিকা যখন উড়ে আকাশে,
চেহারাটা হয়ে যায় ফ্যাকাসে।
হঠাৎ যখন ডাকে কাক,
মুখটা হয়ে যায় নির্বাক।
এতদিনের কোলাহল আর কলরব,
হঠাৎ থেমে যায় সব।
বাঁচার এতো এলাহি আয়োজন,
ভুলে যায় তার প্রয়োজন।
যেমনি শিকার করে শবর,
মৃত্যু তেমনি খুঁড়ে কবর।
সে ঠিক যেন অশ্বত্থামা,
পাণ্ডব শিবিরে দেয় হানা।
আয়ু হয়ে গেলে শেষ,
শরীর ছেড়ে দেয় প্রাণেশ।
মায়া মমতার বাঁধন ছিড়ে,
আত্মা বেরিয়ে যায় উড়ে।
শরৎ, শীত কিংবা বসন্তে;
সে মিশে যায় দিগন্তে।
চঞ্চল শরীর হয় স্থির,
আত্মীয়স্বজন সবাই করে ভিড়।
এতো ভালবাসা আর প্রীতি,
হয়ে থাকে শুধুই স্মৃতি।
জানিয়ে শেষ বিদায় সম্ভাষণ,
মানতে হয় মৃত্যুর শাসন।
জীবন যতই করুক রাজত্ব,
করতেই হয় মৃত্যুর দাসত্ব।
যমদূত মেলে দুই ডানা,
বয়ে আনে মৃত্যুর পরোয়ানা।