মেয়েটির নাম ছিলো নিশা কুমারী,
কাজ ছিলো ছড়ানো নেশার মহামারী।
সে রোজ করতো খুব মেকআপ,
দুই দিন পরে করতো ব্রেকআপ।
সে হোয়াটসঅ্যাপে করতো শুধুই চ্যাটিং,
আর মাঝে মাঝে করতো ডেটিং।
অবশেষে প্রেমিকদের মধ্যে করে লটারি,
বর নির্বাচন করলো নিশা কুমারী।
কিন্তু বদলালো না তার স্বভাব,
তাই সংসারে হলো শান্তির অভাব।
তার স্বামী ছেড়ে নিজের ব্যবসা,
দিনরাত করতে শুরু করলো নেশা।
তার অবস্থা যখন হলো সাংঘাতিক,
নেশা মুক্তি কেন্দ্রে হলো এডমিট।
স্বামীকে দেখতে নিশা যখন যেতো,
দেখতো সব রোগী তার পরিচিত।
তার স্বামী আর প্রাক্তন প্রেমিক,
সবাই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের আবাসিক।
তাদের কেউ খেতো ইয়াবা ট্যাবলেট,
কেউবা মনের সুখে টানতো ডেনড্রাইট।
কেউ সেবন করতো আফিম গাঁজা,
কেউবা ছিলো কোরেক্স ফেন্সিডিলের রাজা।
কেউ টিকটিকির লেজ কেটে শুঁকতো,
কেউবা কারেকশন ফ্লুইড পকেটে রাখতো।