মনরে তুই এতো কাঁদিস না,
খড়কুটো পেলেই ঘর বাঁধিস না।
বুকের ভেতর তোর যে ভগ্নহৃদয়,
করে চলেছে ভ্রমণের স্মৃতি সঞ্চয়।
খোলা আকাশের নীচে পেতে শামিয়ানা,
তুই গড়েছিলি দুই দিনের আশিয়ানা।
সেদিন সবকিছু ছেড়ে এসেছিলি চলে,
নিজের নাম লিখিয়েছিলি অভিযাত্রীর দলে।
সময়ের সঙ্গে করতে গিয়ে সন্ধি,
মূল্যবান মুহূর্তগুলিকে করলি তুই ক্যামেরাবন্দী।
পায়ে যতই হোক পথের ক্লান্তি,
চোখে মুখে প্রকাশিত পুণ্যের প্রশান্তি।
তীর্থস্নান আর পূজারীকে দক্ষিণা দান,
হঠাৎ হয়ে যাবে সবকিছু ম্লান।
ট্রেনের সাইরেনের সেই কানফাটা শব্দ,
একদিন হয়ে যাবে চিরতরে নিস্তব্ধ।
যেদিন তোর দায়িত্ব-কর্তব্য দেবে ডাক,
বিদায় জানাবে অপরিচিত পথের বাঁক।
সেদিন চলবে না কোন জাদুকরী,
ফুরিয়ে আসবে তোর পর্যটনের ডায়েরি।
আবার অফিসের ফাইলের ধুলোর গন্ধে,
জীবন কাটাতে হবে পুরানো ছন্দে।