প্রথমে চাই একখানা পূর্ণদৈর্ঘ্যের সাদা কাগজ,
আর চাই খাঁটি ষোল আনা আবেগতাড়িত মগজ।
তারপর চাই কালির দোয়াত আর ঝরণা কলম,
আর চাই ভগ্ন-হ্রদয় যার প্রয়োজন ধন্বন্তরি মলম।
চাই খোলা মনের আকাশ আর কল্পনার রঙীন ডানা,
আর চাই ভাষার উর্বর জমিতে শব্দের মুন্সিয়ানা।
চাই খোদিত পাষানের প্রতিমায় শিল্পীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা,
আর চাই বাগদেবীর পাদপদ্মে কবির সমর্পণ-নিষ্ঠা।
চাই আশা আর হতশার বিবাদ-বিসংবাদ-দ্বন্দ্ব,
আর চাই টাপুর টুপুর শব্দে বৃষ্টির সুর-তাল-ছন্দ।
চাই কল্পনার স্বর্গরাজ্য যেখানে খোলা মনের দোর,
আর চাই অপ্সরার হাতে তৈরী মদিরা-নেশার ঘোর।
চাই ভালোবাসায় ব্যর্থ প্রেমিকের বিরহ-যন্ত্রনা,
আর চাই মুমূর্ষু রোগীকে দেওয়া সকলের সান্ত্বনা।
চাই শিশুর প্রতি জননী মাতার মায়া-মমতা-মোহ,
আর চাই মৌলবাদের বিরুদ্ধে মুক্তমনার বিদ্রোহ।
চাই শীতের হাওয়ায় নলেন গুড়ের কড়াপাকের ঘ্রাণ,
আর চাই প্রবাসীর ধমনীতে দেশের প্রতি নাড়ীর টান।
চাই কোন স্বল্পবসনা ষোড়শী কন্যার আলুলায়িত কেশ,
এভাবেই যে হয় একটি সার্থক কবিতার রচনা শেষ।