একরাশ হতাশা বুকে চেপে ঘুমিয়ে পড়ি রাতে,
গলা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে কাব্যপিপাসাতে।  
  
অক্ষমতা-অতৃপ্তির অসহায়ত্ব করে এ জীবন গ্রাস,  
নিজেকে নিংরে তাই সংগ্রহ করি কবিতার নির্যাস।


আমি দুর্ভিক্ষের কবি, খরা লেগেছে মোর শব্দের জমিতে;
কিন্তু মনের প্রবল ভাবোছ্বাসের ঢেউ জানেনা যে দমিতে।


অবাধ্য ছন্দ যে করেছে আজ আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ,
তবু কিছুতেই যে ছাড়তে পারিনা কাব্য-রচনার মোহ।


কালবৈশাখীর তান্ডবলীলায় যখন মহাপ্রাচীরও ঢলে পড়ে,
তখন আমার কবিতার পাণ্ডুলিপি কিভাবে আত্মরক্ষা করে?

আত্মকেন্দ্রিক সমাজে, প্রতিযোগিতার ইদুরদৌড়ের মাঝে;
ভগ্নহ্রদয়ের কোথাও যেন অগ্নিবীণার অস্পষ্ট ঝংকার বাজে।


অন্তরে প্রস্তরগলা আগ্নেয়গিরি, বাহিরে বরফজমা শৈত্যপ্রবাহ;
এদেহে ঘর বেঁধেছে ব্যাধি দুরহ, মনে ঘর করেছে কাব্যবিরহ।