বৃষ্টি নামে একটি মেয়ে ছিল,
পিতা পৃথিবী আর মাতা মেঘের ঘরে জন্ম নিল।
শরতের সুদিনে সে বাড়ীর উঠানে হামাগুড়ি দিল।
হেমন্তের নবান্ন মুখে নিয়ে তার কথা ফুটল।
শীতের কুয়াশা উপেক্ষা করে সে বিদ্যালয়ে ছুটল।
বসন্তের ছোঁয়ায় তার দেহে যৌবন আসল।
গ্রীষ্মের শুরুতেই সে বিয়ের পিঁড়িতে বসল।
চোখের জলে ভাসিয়ে যেদিন সে বিদায় নিল,
সেদিন থেকে জঙ্গলে-জনপদে দাবানল জ্বলিল।
পিতা পৃথিবীর ফাটে বুক, মাতা মেঘের দেখা নাই;
ভগিনীর কথা মনে করে শোকে পাথর বাতাস ভাই।
দিনরাত আকাশের দিকে সকলের নিষ্পলক দৃষ্টি,
কবে আসবে জামাই বাবাজীর সঙ্গে নাইয়র বৃষ্টি।