যার দেহের খাঁজে খাঁজে ভরা যৌবনের রমরমা,
যাকে দেখলে আমি ভুলে যাই কবিতার দাড়ি-কমা,
যার জন্য বুকের গভীরে অজস্র আবেগানুভূতি জমা,
যাকে দর্শন না করলে বিধাতা করবেনা কখনো ক্ষমা,
সে যে আমার প্রিয়তমা।
কখনো গাড়ির সম্মুখে, কখনো বাইকের লুকিং গ্লাসে;
কখনো ফেইসবুকে, আবার কখনো গুগল প্লাসে;
কখনো পাড়ার গলিতে, কখনো অফিসের করিডোরে;
তার সঙ্গে দেখা হয় নিতান্তই সৌভাগ্যের জোরে।
তার মুচকি হাসি যেন কোন ভুলভুলাইয়ার ধাঁধা,
ঐ সম্মোহনের মায়াজালে আমি পড়েছি যে বাঁধা।    
সে নয় কোন অপার্থিব পরী কিংবা স্বর্গের অপ্সরা,
তবু সে কেন আজও আমার কাছে র‍য়ে গেল অধরা?  
সে যে আমার সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-মধুযামিনী,
জগতে তার লক্ষ্মীশ্রী ছড়িয়ে সে যেন গজগামিনী।
সে যে আমার মনের আকাশে কামনা-বাসনার ঘুড়ি,
তার প্রেমের সুতার টানে পড়ে আমি দিই হামাগুড়ি।
যতই ভাবি তাকে দেখে ভুলে থাকবো হ্রদয়ের ক্ষত,
সে যে জ্বলে উঠে আবার নিভে যায় আলেয়ার মত।    
তাকে নিয়ে যখন চর্চা পাহাড়ে-সমতলে, গ্রামে-শহরে;
আমি তাকে খুঁজি পাশের বালিশে রাতের শেষ প্রহরে।