দিবাশেষে দিবাকর যেমন তার নিষ্প্রভ দীপ্তি ছড়ায়,
সরোবরে সৃষ্ট বুদবুদ যেমন মহাশূণ্যে মিশে যায়,
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ যেমন সৈকতে আছাড় খায়,
উন্মুক্ত কর্পূর খন্ড যেমন বায়ুপ্রবাহে উড়ে যায়,
নদী যেমন জমা পলিমাটির ভারে নাব্যতা হারায়,
তেমনি বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে মা তোমায় জানাই বিদায়।
৩৬৫ দিনের প্রতীক্ষার শেষে মাত্র এই কয়টা দিন,
তোমার আগমনীর উল্লাসে হয়ে উঠেছিল সার্বজনীন।
তোমার সন্তানবৎসল মাতৃস্নেহের মায়াবী আবেশে,
চব্বিশখানা প্রহর যে কখন ফুরিয়ে গেল নিমিষে।
হে নবমীরাতের ঝির ঝির বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ,
তোমরা কি বয়ে চলেছ আসন্ন বিচ্ছেদের আভাস?  
বিজয়ার সিঁদুরখেলা-মিষ্টিমুখ-কোলাকুলির মাঝে,
বুকের কোণে বিরহবীণার অস্পষ্ট ঝংকার বাজে।
মোদের সংবেদনশীল মানবমনকে করেছি পাষাণ,
পথ-ঘাট রাঙিয়ে যে দিতে হবে তোমাকে ভাসান।
শেষে এই প্রার্থনাটুকুই করি দুই হাত জোড় করে,
আসছে বছর এমনি করেই আবার আসিবে ফিরে।