আজি কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর ফাল্গুন,
ভক্তের মনে বাজিছে তব মধুর ধুন।
সকল দেবগণ যখন করে স্বর্গে অধিষ্ঠান,
তব প্রিয় স্থান কৈলাস পর্বত আর শ্মশান।
দৈব বাহিনী যখন ধারণ করে লৌহ বর্ম,  
তব দেহাবরণরূপে শোভা পায় ব্যঘ্রচর্ম।  
মণিমুক্তার ভারে যখন ক্লান্ত দেবদেবীর অঙ্গ,
তুমি গ্রীবাদেশে পরিধান কর বিষধর ভুজঙ্গ।  
দেবকূল যখন করে নিজেদের রূপের বড়াই,
তুমি ভূত সাজিয়া ঘুরিয়া বেড়াও মাখিয়া ছাই।
দেবী সতীর যখন অনুষ্ঠিত হয় গায়েহলুদ,
তুমি তখনও ছিলে গঞ্জিকার নেশায় বুঁদ।
দক্ষ প্রজাপতির শাপে যখন চন্দ্র হইয়াছিল ক্ষীণ,
তুমি তাহারে করিয়াছিলে তব মস্তকে আসীন।
ভগীরথের তপস্যায় তুষ্ট গঙ্গা যখন অবতীর্ণ ধরায়,
তাহার দুর্বার গতি তুমি রোধ করিয়াছিলে তব জটায়।  
অমৃতের ভাগ লইয়া যখন দেবাসুরের কোলাহল,
তুমি অবলীলাক্রমে পান করিয়াছিলে হলাহল।
শ্রীকৃষ্ণের সহিত যখন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত মথুরা,
তব পূজার পুষ্প রূপে ফুটিয়া ধন্য অতি তুচ্ছ ধুতুরা।
দেবরাজের রথের চূড়ায় যখন মহামূল্যবান রাজছত্র,
তব মহাশিবরাত্রির অর্ঘ্য সহজলভ্য বনের বিল্বপত্র।
তব মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপিলে প্রাণ অকালে নাহি যায়,  
এই শুভদিনে একাগ্রচিত্তে বল সকলে ওঁ নমঃ শিবায়।