পুরুষ কখনো হয়না ঘটি কিংবা বাঙাল,
সে যে আজীবন শুধু ভালোবাসার কাঙাল।  
কলেজে পড়ার সময় দেখে তার যৌবন,
এক সুন্দরী মেয়ে তাকে দিয়ে বসে মন।
বান্ধবীদের নিয়ে তার উপর হয়ে চড়াও,
রাজি না হওয়া পর্যন্ত করলো ঘেরাও।
কর্মজীবনে কোন একদিন সে প্রতিষ্ঠিত হলে,
সে মেয়ে বরমালা পড়ালো তার গলে।
শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে নিলো ঠাঁই,
নিজের বরকে ভর করে বানালো ঘরজামাই।
যাকে কেন্দ্র করে তার এত আনন্দোচ্ছ্বাস,
তার প্রতি হঠাৎ হারিয়ে ফেলে বিশ্বাস।
কোথায় হারিয়ে গেলো স্বামীর প্রতি মোহ,
অকারণে সে করতে শুরু করলো সন্দেহ।
দু'জনে অফিসে যেতে স্বামী করতো ড্রাইভিং ,
সে হাতে লিখে রাখতো স্পিডোমিটারের রিডিং।
গাড়ির মিউজিক সিস্টেমে বেজেছিলো যে গান,
ফিরতে দেখতো তার অবর্তমানে বেজেছে কয়খান।
অফিসের কুচক্রী সহকর্মীরা তার ভরতো কান,
সেও ভাবতো সব পুরুষই বুঝি সমান।
তার মিথ্যা অভিযোগ শুনে হয়ে মরিয়া,
একদিন তার স্বামী হয়তো করবে পরকীয়া।