হে কাজল মাখা ঘন কৃষ্ণবর্ণের আসমান,
তব মাঝারে অজস্র মেঘের ভেলা ভাসমান।
প্রকৃতি ঘুরাইয়াছে তাহার ঋতুচক্রের চরখা,
মুষলধারায় নামিয়া আসিয়াছে যুবতী বরখা।
এই বাদলা দিনের নৈসর্গিক উল্লাসের তরে,
মোর সহস্র উচ্ছ্বাসের ঢেউ উপচাইয়া পড়ে।
মূহুর্মূহু শোনা যায় বজ্রবিদ্যুতের গর্জনধ্বনি,
যেন ফাটাইয়া দিবে কর্ণকূহরের আবরণী।
আক্ষেপ নাই চলিয়া গেলে মোর শ্রবণশক্তি,
সারা দেহজুড়িয়া এক মধুর সুখের অভিব্যক্তি।  
ধরণীর চৌচির বক্ষে তুমি লাগাইয়াছো মলম,  
তব আগমনীতে আবার ধরিয়াছি যে কলম।
ধান্যমূলে তুমি যোগাও পুষ্টিরসের বরদান,  
পুষ্পপত্রে তুমি ছড়াইয়া দাও সুবাসিত ঘ্রাণ।
তব বারিধারায় স্নান করিয়া ধন্য পাহাড়-জঙ্গল,
গ্রাম্যরমণীর কন্ঠে উচ্চারিত হইবে মনসামঙ্গল।