হে বসন্তের স্নেহধন্য সম্মোহনী রজনী,
তুমি কি হবে আমার সজনী?
তোমার আপাদমস্তক আলুলায়িত লম্বা কেশ,
রচনা করে কালো জাদুর পরিবেশ।
তারার আলোয় দৃশ্যমান তোমার যৌবন,
সারা শরীরে সৃষ্টি করে শিহরণ।
তোমার আকাশে মেঘে ঢাকা শশী,
ঘোমটা খুলতে কেন করে গড়িমসি?
তুমি যে এক রহস্যময়ী নারী,
জোনাকির জরিতে উজ্জ্বল তোমার শাড়ি।
তোমার ওই অপরূপা অপ্সরার রূপ,
দেখে আমি হয়ে যাই চুপ।
আমি যে এক নিঃসঙ্গ কবি,
তুমি কি হবে আমার বান্ধবী?
তোমার রচিত ঐ মায়াবী অন্ধকার,
যেন সময় হয়েছে আমাদের ফুলশয্যার।
পান করিয়ে তোমার হাতে মদিরা,
তুমি ভুলিয়ে দাও আমার মনঃপীড়া।
আমার দায়িত্ব তুমি নিয়ে নাও,
আমার দু'চোখে ঘুম দিয়ে যাও।
আমি অত্যাচারিত,শোষিত আর সর্বহারা;
তুমি কি হবে আমার সাহারা?
তোমার কাছে আমার একটাই প্রত্যাশা,
তুমি দূর করো আমার হতাশা।