বর্ষার ঘোমটা সরিয়ে শরতের মিষ্টি আলো,
আজ সকালে আমায় ঘুম থেকে জাগালো।  


গাছের ডালে ডালে ফুলের অসংখ্য কোরক।
খুলে ফেলে দীর্ঘ অপেক্ষার আবরণী মোড়ক।


পাখীরা ভেজা পাখা মেলে করে রোদে কেলি,
ঠাকুরঘর খোলা দেখে ভাবি মা তুই বুঝি এলি।


রূপ-রস-গন্ধে নিষিক্ত প্রকৃতি যেন আজ প্রসূতি,
চারিদিক জুড়ে বিরাজ করছে এক স্বর্গীয় অনুভূতি।


বাতাসের ছোয়ায় মেঘ পালায়, বাজে সুরের লহরী;  
কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা যেন আজ অতন্দ্র প্রহরী।


বন্যার জলে ডুবে গিয়েছিল ক্ষেত-খামার-সড়ক।
দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-জড়তায় কল্পনার লেগেছিল মড়ক।


এ মূর্খ কবির মন্দবুদ্ধি মাথায়ও এল ব্যুৎপত্তি,  
আমার ছন্নছাড়া কবিতায় হল ছন্দের উৎপত্তি।


এক অনাবিল আনন্দধারা বয়ে চলেছে ধমনী-শিরায়,
শরতের আমন্ত্রণে চল সকলে মেতে উঠি শারদীয়ায়।