সুখ ও কবিতা পরস্পরকে ভালোবাসে না,
সুখে থাকলে কিছুতেই কবিতা আসে না।
সুখ ও কবিতা পরস্পরকে চলে এড়িয়ে,
সুখে থাকলে কবিতা থাকে মুখ ফিরিয়ে।
সুখ ও কবিতার সম্পর্ক একদম ব্যস্তানুপাতিক,
পরস্পরকে ঘৃণা আর হিংসা করে সাংঘাতিক।
সুখ আনে আলস্য,সুখ আনে জড়তা;
কবিতার প্রধান উৎস হলো দুঃখ নির্ভরতা।
সুখে থাকলে কবি হয় বরফাবৃত ঝিল,
দুঃখে থাকলে সে হয়ে ওঠে সাবলীল।
সুখের হাওয়ায় কবি হয়ে থাকে চিত,
দুঃখের ছোঁয়ায় তার ফিরে আসে সম্বিত।
সুখের কবলে পড়লে কবিকে ধরে ঘুণ,
দুঃখের ছোবলে সে করে কবিতার মৈথুন।
সুখের সমারোহে কবি করে শুধুই উল্লাস,
দুঃখের আবহে সে নিঙড়ায় কবিতার নির্যাস।
সুখের সন্ধানে কবি হয়ে থাকে অন্ধ,
দুঃখের বিধানে সে পায় কবিতার ছন্দ।
সুখের সম্মোহনে কবি হয়ে থাকে বশ,
দুঃখের কারণে তার বের হয় কাব্যরস।
সুখ পেলে কবি খায় মিষ্টান্ন,মনোহরা;
দুঃখ পেলে তার ছুটে কবিতার অশ্রুধারা।