তোমার পরনের ঐ স্বচ্ছ শাড়ির আঁচল,
দিনে দুপুরে করে দেয় আমায় পাগল।
তোমার কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত লম্বা চুল,
আমি হঠাৎ আঁচল ভেবে করি ভুল।
ফাগুনের আগুন লাগানো বসন্তের মিলন মাসে,
সে উড়ে বেড়ায় এলোমেলো মাতাল বাতাসে।
তুমি যদি কোনদিন আসো আমার নিবাসে,
তোমার আঁচল আমি ভরিয়ে দেবো পলাশে।
তার উপর শাড়িটা যদি হয় জামদানি,
আমায় যেন দেয় প্রেমের মায়াবী হাতছানি।
যখন তুমি ঐ আঁচলে দাও ঘোমটা,
আকাশ জুড়ে দেখা দেয় মেঘের ঘনঘটা।
সারাদিন পরিশ্রম করে ফিরে ক্লান্ত চোখে,
আমি ঘুমাবো ঐ আঁচলে মুখ ঢেকে।
যখন চলে যাও তুমি রিকশায় চড়ে,
পেছন থেকে ঐ আঁচল চোখে পড়ে।
তুমি যখন স্নান করে শরীর শুকাও,
সরিষা ক্ষেতে তোমার ভেজা আঁচল ছড়াও।
তুমি যদি ঐ আঁচল দাও ধার,
আমি সারাজীবন করবো তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার।
তোমার ঐ আঁচল বুকে জড়িয়ে ধরে,
আমি আবার বাঁচতে চাই নতুন করে।