চুঁইয়ে পড়ছে বিন্দু বিন্দু করে …
রাশপাতলা আঁচল মৃদু বাতাসের ছোঁয়ায়,
ধীরে ধীরে দূরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
ট্রামের জানালা থেকে সরে সরে …


আধো আধো আঙুলগুলোকে ছুঁতে পারেনি
খেটে খাওয়া জরাজীর্ণ শরীর,
বসন্তের হাতের একমুঠো আবির
হাতেই থেকে গেছে-কোনো কাজে আসেনি।
সবার কাহিনীই যেন ডগলাসের কাহিনী-
পাতার ফাঁকে ফাঁকে পাতলা মেঘের আস্তরণ,
সাথে তুমল বাতাসের বাহিনী
নিয়ে প্রকৃতির বিধ্বংসী ব্যাকরণ
জীবন বদলাতে পারেনা কব্জির মসৃণ মোচড়;
অফিসের টেবিলে, চায়ের আড্ডায় চলে
নেতা-নেত্রীদের মুন্ডপাত-দেশ বদলাবার কামড়,
দায়িত্বের সময়? বিস্কুট ভেজে অজুহাতের জলে!


বাইকের সিটে জাপটে ধরার দিকে
চোখ চলে গেছে-ঈর্ষাভেজা চোখ
জানিনা কি খোঁজে রেস্টুরেন্টের আনাচে-কানাচে!
কারোর হয়তো আসার কথা ছিল?
যতদূর মনে পড়েনা ততদূর ভাবি কালো
ছাঁচ পেরিয়ে, চুপচাপ … চুপচাপ … চুপচাপ
একেক করে বাঁধন ছিঁড়ে এগিয়ে গেল-
সামান্য কিছু স্মৃতি আকড়ে আলাপ
জমিয়েছি পাগলী ছায়ার সাথে,
তারপর কত হাসি, কত গল্প সেই রাতে …


দিনে যানবাহনের হর্নের আওয়াজ-ই হোক
বা রাতে প্রেমিকের হাইনিঃশ্বাসের …
থিতিয়ে যেতে থাকে লাল কাঁচের গ্লাসে-
জুয়োর ঠেকে আজও জুটেছে উত্তেজিত লোক,
নিশ্চয় গ্রামের কিংবা হয়তো বিশ্বাসের-
জানেনা, এ খেলায় ফয়সালা হয়না তাসে।