নিথর ঝিলের চারপাশে আঁধার ঘনীভূত,
আতাম্র ঔর্বাগ্নির উদয় আমার স্তিমিতনেত্রে
এক উদ্ভিন্নযৌবনা নারী অপর উৎসৃষ্ট তীরে
আলুলায়িত কেশে শোভিতা;
রম্ভোরুর দেহের অর্ধস্খলিত নীলাম্বরী
আমাকে শরব্য বানিয়ে নিমখুন করতে চাওয়া
নতুবা মৌতাতের নেশায় মাতাল করে দেওয়া!
অনম্বর বক্ষের অত্যুজ্জ্বল কঞ্চুল নিতম্বিনীর
আসঙ্গলিপ্সু নেত্রযুগলে কন্দর্পের ফিনিকসজ্জা!
শরদিন্দুনিভাননার উদলা কন্ধর আমার জিজীবিষাকে
মোহ্যমান করে ফয়তা পাঠ করতে চাইছে,
ভাবছি তনুমধ্যার তৃষান্বিতা একাঘ্নীতে নিহত হব,
নতুবা অত্যাসক্ত হয়ে অধরা মাধুরীর কাছে প্রাণভিক্ষা চাইব!


হেলেনকে উপলক্ষ্য করে একটি সাধারণ যুদ্ধ হয়েছিল,
তৎকালে তুমি বর্তমান থাকলে তোমার স্তনবিভাজিকায়
বিভক্ত বিশ্বব্রহ্মান্ড অন্তহীন সমরে লিপ্ত হত;
রোমের গ্ল্যাডিয়েটররা যে মুক্তির জন্য জীবন বাজি
রেখে লড়ে যেত মুক্তিযূথিকার সেই তুরীয়ানন্দ তুমি!
হে নিরাবরণ তন্বঙ্গী, তোমার কামান্ধ প্রত্যঙ্গেরা
হেমলকের মত আমায় ভুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে
দৈনন্দিন তুচ্ছাতিতুচ্ছ বেদনার আঘাত,
ম্রিয়মান মননে একমাত্র অত্যুগ্র বাসনা
তোমার অধরসুধা পানের যাতে আমার ম্লানিমালিপ্ত
ওষ্ঠাধর তৃপ্ত হয় এবং আমার পার্থিব দেহধাম
চিতাভস্মের পরও অমর রয় পিরামিডের ন্যায়।


অতুলনীয় তিলোত্তমা, তুমি কি অনুভব করেছো
দক্ষিণাবহের প্রভাবে তরঙ্গবিধৌত নুড়িকাঁকর আমার
পদযুগলে এসে দ্রংষ্ট্রাঘাত করছে প্রতিনিয়ত?
জানি বিচ্ছেদের পর আমাকেও জুডাসের মত
আক্ষেপ করে বেড়াতে হবে মৃত্যুর অন্বেষণে,
কিন্তু তার পূর্বমুহূর্ত অবধি এই ঝিলের তীরে
নতুবা হেলেসপন্টের তীরে লিয়েন্ডারের মত অপেক্ষা!
কৃশাঙ্গী কিমিয়া, আলোর উদ্ভাসনে অন্যান্যেরা যখন
নিজেদের প্রেয়সীদের নিয়ে প্রেমের কবিতা লেখে,
তুমি সেইমুহূর্তে আমার দৃশ্যপটে অস্ফুট রও,
তমসায় চিত্রিত হও তমসা ঘোচানোর নিমিত্ত;
লাস্যের পরশে তৃষা মিটিয়ে দাও পরবর্তী
আলোয়  নিঃশ্বাস গ্রহনের উজ্জ্বল অনুপ্রেরণায়!



***  আমার ছোটোবেলার লেখা একটি কবিতা, যখন আমি ভাবতাম কঠিন কঠিন শব্দ দিয়ে লিখলেই বোধহয় ভালো কবিতা লেখা যায়।।  ***