উষ্ণায়নের যুগে উষ্ণতার অভাব নাই কোথাও
রাতভর ডিস্কোতে তলিয়েছে একাকীত্বের ব্যথাও
কয়েক পেগ পানীয়ের আগুনে, অক্টোবরের
আলসে সকালগুলো বারণ মানেনি কোনো লয়ের;
নরম শরীরটা ফাগুনে নির্বিকার এক পাথর
কেবল…কেবল আমি ঢুকেছি ফার্নেসের ভেতর!


চশমার কাঁচ বর্ষায় ভিজে কেমন আবছা
হয়তো ছেলেগুলো বাইরে বেরোলো সাথে গামছা
থইথই বিকেল নিঃশ্বাস নেয় জমা জলের বুকে-
কাঁটা চামচ বাঁ-হাতের উঠে আসে সুস্বাদু রেস্তোরার মুখে
সামান্য কয়েকবার, গরম ফাস্টফুড শুকনো প্লেটের ওপর
অথচ…কেবল আমি ভিজেছি বৃষ্টির ভেতর!


ভাটিয়ালী সুরে পাড় থেকে অনেক অনেক দূরে
টিমটিম করতে থাকা আবেগ গেছে আরো সরে-
ব্যাঙ আর ঝিঁঝির ডাক মোছে আধুনিকতার হাতে
যেভাবে আলগা হয়েছে ফাঁস-খুলে গেছে ফিতে
আর ছড়িয়েছে ভুরভুরে সৌরভ শীৎকারে আতর
তাতে…কেবল আমি শুনেছি যন্ত্রণার ভেতর!


সাদা কাশের সুবাসে একরাশ বাতাসের অবকাশে
বেদনার গ্লানি ঢাকের কাঠির প্রান্তে সামান্য ফ্যাকাসে
দেখিয়েছে মোমবাতির শিখায় সাদা বকের পাখায়
আনন্দের মোড়কে বারবার হামাগুড়ি দিয়ে যায়;
কিন্তু ঐ সরল চোখদুটো বিষের তীব্রতায় নিথর
বেশ…কেবল আমি ভস্মীভূত আজ তোমার ভেতর!