শ’য়ে শ’য়ে তাজা প্রাণ মুড়িয়ে যায়
রাষ্ট্রের বিজয়রথের চাকার তলায়,
আর্থিক অনটনের কালিমা ঘোচাতে
ফেরিওয়ালা-মুটে-মজুর পরিবারে হাসি ফোটাতে
এরা ঘাম-রক্ত আর মোটা অর্থের বিনিময়ে
কোনোরকমে একটা সংস্থানের ব্যবস্থা করে,
গায়ে পুরু খাঁকি ঊর্দি চড়িয়ে
রাষ্ট্রের স্বার্থে বহু ব্যবহৃত রাইফেল ধরে।


শত্রুর মুখ এরা কোনোদিন দেখেনি
শত্রুরা কোনোদিন এদের জীবনে ঢোকেনি,
অথচ এদিক-ওদিক থেকে ধেয়ে আসা বুলেট
রক্তে লাল করে দিয়ে যায় সবুজের ক্ষেত!


ওরাও(শত্রুরাও) এদের মত রাষ্ট্রেরই সন্তান,
সরকারী উদাসীনতায় ডেকেছে জেহাদের বান
শিরায় শিরায় অধিকারের দাবীতে সোচ্চার
আর্তনাদে মন্ত্রিসভা-আইনসভা নির্বিকার,
পৌঁছয়নি খাদ্য-উন্নয়ন-শিক্ষা-সহায়তার হাত
কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি পেরিয়ে,
স্বাধীনতার আগে-পরে কালো সেই কালো-ই রাত
বরং অত্যাচারের সীমা গেছে ছাড়িয়ে।


এদের মৃত্যুতে
রাষ্ট্র চাকরি আর ক্ষতিপূরণ গুঁজেই খালাস,
আর ওদের মৃত্যুতে
রাষ্ট্র্র নির্দেশ দেয়, “গুম করে দাও লাশ”;
এভাবেই শ’য়ে শ’য়ে তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়
সরকারের স্বার্থে- রাষ্ট্রের বিজয়রথের চাকার তলায়!