নোংরামির শহর
কখনো স্ট্রীটলাইট থেকে দূরে
আবার কখনো তারই নীচে,
বিবেকের দংশন
খেয়েছে কুরে কুরে
বাসের জানালা অপলক চোখে তাকিয়ে আছে …


ফ্রাইং প্যানে চাউমিন ভাজার শব্দ
বেশ মুচমুচে লাগে
ক্যামেরার লেন্সে ধরা আলতো,
প্রেমিকের সাথে অভিনয়ের রাগে
বাইক থেকে নেমে দাঁড়ানো গালে টোল ফেলে
নিয়ন আলো বেয়ে নেশা এগিয়ে চলে …


ধোঁয়ায় ভরে যায়
কিংবা পাথুরে ধোঁয়াশায়
জীবন ছন্নছাড়া-বাউন্ডুলে কবিতার মত
ছন্দহীন পানওয়ালার রাতজাগা স্টল
ফুটপাতে ফুটপাতে সুগন্ধীর ঢল
অথচ ঢাকা যায়না কামনার ক্ষত …


সবাই শরীরে ভ্যালেন্টাইন মেখেছে
দু’হাত ভরে-সারা শরীরে
আবছা নজর আলিঙ্গনের উষ্ণতা দেখেছে
দোতলা রেস্টুরেন্টের আলোছায়ার গভীরে;
প্রাণোচ্ছ্বল ক্লাউনের হাসিতেও গতানুগতিকতা,
রাস্তার এগিয়ে চলা-খুঁজে চলা আন্তরিকতা …


চুঁইয়ে পড়া নানান আলো গড়িয়ে
যায় ট্যাক্সির কাঁচের ওপর দিয়ে,
হাত বাড়িয়ে কেউ রঙ ধরতে চায়না
বাতাসে ভেসে চলা মেদুর সঙ্গীতে-
লাল হৃদয়াকার বেলুনে পাওয়া যায়না হৃদয়,
পাওয়া যায়না প্রেম এই আঙ্গিকে …



১৪।০২।২০১২                                                  কাটোয়া,বর্ধমান।