আকবর মাষ্টার বড় পন্ডিত
মুখে তার শোনা যায় ভাবতত্ব গীত।
কণ্ঠে কখনও বাঁজে তাঁর
স্বরলিপি সা-রে-গা-মা'র।
মুখে তার গুন গুন গুন
তোরা এসে ঐ সবে শুন।
চলতে পথের বাঁকে বাঁকে
কারে যেন ইশারায় ডাকে।
চুলে তার খানিকটা জটা
পথিকের দেখা হলে বলে,"বাজে ক'টা"?
চোখটা উপরে তুলে  প্রশ্ন করেন
জবাবটা শুনে হাত কপালে ধরেন।
দু'চোখে দ্যাখে না ভাল তাই
কাঁচা পথে ধীরে চলে গোল চশমায়।
তেলে মাখা বাঁকা লাঠি বন্ধু যে তাঁর
মাথায় এখনও কিন্তু জ্ঞানের বাহার।
যদিও বয়স হবে নির্ঘাত আশি।
বরং তারও চেয়ে হবে কিছু বেশি।
আজও যত্নে আছে জ্ঞানপুথিময়
হয়ত হতেও পারে খানিকটা ক্ষয়।
কখনোবা রাস্তায় দ্যাখে চেয়ে চেয়ে
স্কুলে পড়া কোন ছেলে কিম্বা মেয়ে।
চেঁচিয়ে বলেন, "তোরা এই দিকে আয়,
একজামিনটা করে দেখি কি আছে মাথায়"?
হয়তো লাঠির ভয়ে কেউবা পালায়
কেউবা সাহস করে এগিয়েই যায়।
ভগ্নাংশ, শতকরা, অনুপাত চিহ্ন
খানিকটা যাচাই করে বলে, "কথা ভিন্ন,
এ যুগের ছেলে মেয়ে গণিতেই কাঁচা
সমাজ বা ভূগোলে অনেকটা সাঁচা।
ধর্মের কথা সে তো সকলেই জানে
ইংরেজী শক্ত তা অনেকেই মানে।
কখনোবা মুখ জুড়ে হাসিটাই আনে
জোরে বলে, "ভিত(ভিত্তি)নাই জ্ঞানে বিজ্ঞানে"।
অতপর পিঠে এক মারেন চাঁপোর
ফেল যদি করে কেউ মারেন থাঁপোর।
এই যে শাসন তাঁর এর মানে স্নেহ
এ শাসনে আপত্তি করে না যে কেহ।
এ শাসনে নাই খাঁত নাই কোন ক্লেশ
উৎসাহ, আনন্দ আছে বেশ বেশ।


ছ/১/১...।১৫