বড় কষ্ঠ মনে আজ কোন কথা মুখে নাই আর
বিনা দোষে গোবেচারা মরল রে হাজারে হাজার।
বিনা দোষে পুড়ে আজ অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি কত
এক, দুই, দশ নয় শত, শত, শত।
লিখব কত যে কিছু ভাষা আজ কোথায় হারালো
দুরন্ত অভিমান ভাষা আর ভাবনার টুটি চেপে ধরে
লেখণির আনকোরা খেয়ালী পথিকবর অজানায় পাও বাড়ালো।
যতই ভাবছি মনে ভাব নাই বাড়ে শুধু ক্ষোভ
মানুষ খুনের এ কি! চলছে রে মহা মচ্ছব।
ভাষা নাই ভাষা নাই কোনখানে ভাষা পাই এই সব কথা জানাবার
পদ্যশিশুরা সব মরে যাবে কথা শুনে পাশবিকতার।
বড় কষ্ঠে, অভিমানে ভাবলাম লিখব না আর
লিখব না, লিখব না এই সব কথার বাহার।"
ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি লুটেরা যে লুটছে তো লুটছেই
সন্ত্রস্ত মানুষেরা জীবনে বাঁচার তরে আজ
পঙ্গপালের মতো এক ও দিক শুধু ছুটছেই।
আঘাত আর ধর্ষনে অচেতন নারীর শরীলে
দানবেরা কেমনেবা দেয় রে আগুণ
আগুণের লেলিহান শিখায় শিখায়
নিরীহ নারীরা আজ হয়ে যায় খুণ।
লিখব না লিখব না এই সব কথা আজ আর
কথা নয় কষ্ঠেরা বুকের মধ্যে শুধু সানাই বাজায়।
লালচোখ দানবেরা মারনাস্ত্র সেজেগুজে হায়
বিবেকের বাপছাড়া অসহায় শিশুটিরে কেবলই শাসায়।


ক/২৯/২৫।    ও.১২.১১.১৭।
(রোহিঙ্গা ও অন্যসব পাশবিকতার প্রতিবাদে)