কিছুই কি বলার নেই তোমার আমাকে কিংবা আমার তোমায় ?
যে শয্যায় আসন পেতেছ হয়তো বা ক্ষনিকের জন্য
সেখানে এখনও ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের ভবিষ্যৎবিহীন অতীতের চিহ্ন ।
জানালার বিবর্ণ কাঁচে আঁকা  ছবি এলোমেলো দুজনার
মনে করে দেয় পরিবতিত সময়ের কথা। সময়ের পিছুটান
নেই আজ কারো অথবা ঘরে ফেরার তাড়া।


চলো আজকে না হয় দুজনে একটু বেহিসেবী হই
সামান্য সময়ের জন্য। গুমোট ভ্যাপসা গুহার অর্গল ছেড়ে
মিলে যাই আলোর ছোঁয়ায়। যেখানে ল্যাম্পপোস্টের গাঁ ঘেঁষে
গুবরে পোকাদের আলো খেলা চলে রাতভর
তিরতিরে অন্ধকারে অহর্নিশ আলো আলো করে
শানাই বাজিয়ে ফেরে আনন্দের ।
তারপর ভুরীভোজে দম ফেটে মরে
ফুটো বেলুনের মতো সশব্দে।


চলো যাই রুক্ষ ডোবাটার ধারে, যেখানে বুড়ো আলো এসে
অকারণ উঁকি মারে নুয়ে পড়া ভিখারিনির মতো
জংলা গাছের ডগায় । কুকুরের সজাগ চিৎকারে পালাবার পথ
খুঁজে ফেরে বার বার । অথবা ফিরে যাই চিলতে নদীটার ধারে
বাতাসের তৃষ্ণায় স্থির হয়ে পড়া ঢেউগুলো তার
কালগুনে চলে রাত্রির
উতলা কুমারীর প্রতীক্ষায়।


চলো আজকে না হয় একটু বেহিসেবী হই
সামান্য সময়ের জন্য। এই বিবর্ন গুহা ছেড়ে
চলো যাই, আলো জল বাতাসের খেলায়
দুজনায়, অসময়ে সময়ের সন্ধানে  !