ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত বলেছিলো
এক কবি ! তাঁর ফুলও চাই , চাই বসন্ত ।
ফুল ফুল কোরে সে রইলো বসে অহল্যা পাষাণ যেন !
তাই দেখে বসন্তের মুখ হোল আশ্বিনের আকাশের মতো
গুমরো। ফুলই তোমার সব হোল , আমি বুঝি কেউ না ?
গুঞ্জন কোরতে কোরতে বসন্ত মাতাল করলো দশদিক !


ডাক পড়লো উত্তুরে হাওয়ার , দখিন বাতাসের
পূব আর পশ্চিমের দূতিরাও এলো পুচ্ছ নাচিয়ে
বসন্তের ডাক বোলে কথা ! ফুলেরা তো এদিকে চুপটি
কোরে আছে বসে , বসন্তের বেচাল দেখে কুটি কুটি হেসে
ঢলে পরে এ ওর গায়ে , পলকে পলকে ! কুঁড়ি ছেঁড়ে
বেরিয়ে এসো ওহে ফুল বালিকারা , বেরিয়ে এসো, এসো -
বোলে বোলে বাতাস মাদল বাজালো চারদিক !


কেউ এলো না বেরিয়ে, তুচ্ছ বাতাসকে কেই বা ভয় পায় ?
শেষে সূর্যের কানে গেল সেকথা  । পেয়েছে কি
ফুলের দল ? ফুল ফুটবার কাল বলে কথা , তাঁর মুখে
হাসি না খেললে মান যাবে  যে সুরুজের !


আর কি করা? সূর্যের হুকুম বলে কথা !
ফুলেরা সব নাচতে নাচতে বেরিয়ে এলো ডেরা ছেড়ে এক লহমায় ।
অহল্যা মুখ হাঁফ ছেড়ে বাঁচল যেন
মনে মনে বললো, আমি তো আর কবি নই
তাই আমার ফুলও চাই , চাই বসন্তও !