সোবানবাগ অফিসারস  কোয়াটারের বুক চিরে একটু সোজা
এগিয়ে গেলে , মোহাম্মাদিয়া সুপারমার্কেট
তার পাশ কাটিয়ে ,আর একটু , আর একটু এগোলে
জুট কলোনির সাজানো চত্বর , লোহার মস্ত গেট পেরোলে
রাজপথ , বকুল তলা , খেজুর বাগান
হাটতে থাকে ওরা,হাটতে থাকে
গন্তব্য চন্দ্রিমা । প্রাতঃভ্রমন !


সকালের ফুরফুরে হাওয়া কমিয়ে দেয়
মনের বয়স, দেহের বয়স । ওঁদের
মন হোয়ে উঠে  চঞ্চল প্রজাপ্রতির মতো
ঠোঁটে বাজে সুর , বাজে রবি ঠাকুরের কোন গান
সুর সাধে ওরা মনে মনে রোজ সকালের মল্লিকা,মৈত্রয়ীর
মতো । যেতে যেতে কোনোদিন কথার ফুলঝুরি ফোটে
কোনোদিন আবার কথার আকাল ঘটে, বাজারের টাটকা সবজীর মতো ।
হাটতে থাকে ওরা, হাটতে থাকে
গন্তব্য চন্দ্রিমা । প্রাতঃভ্রমন !


ওদের মতো আরও দুজন । ওরা বাঁধা গাছের মগডালে !
রোজ রোজ বানর-বানরি দুজন মনে মনে ভাবে, আহা
ইচ্ছে ঘুড়িটা যদি আজ হাতে পেতাম ! ওঁদের মতো
ঘুরে বেড়াতাম বনে-বাদারে, মাঠেঘাটে, পর্বতে
সিন্ধুতে !  তারপর ওঁদের মেঘ কালো মুখ দেখে
পরক্ষণেই ইচ্ছের লাগাম এঁটে  মনে মনে বলে ;
আসলে ইচ্ছে ঘুড়ি বলে কিছু নেই
মানুষের ইচ্ছে ঘুড়ির সুতোই দেখেছি কি অকারণেই না
ছিঁড়ে যায় বারবার  পলকা বাতাসে !


ওরা দুজন । ইচ্ছে ঘুড়িটা আজ ওদের হাতে
গন্তব্য , চন্দ্রিমা । প্রাতঃভ্রমন ।  সুতো ছিড়েঁ গেলে
গন্তব্য চন্দ্রিমা সেদিন হয় উধাও   !!