সেই কবেকার তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে আজ অব্দি
অন্তর মম বিকশিত কর- তোমার সাথে চেনা জানা কবি , প্রাণের কবি
মনের কবি, অন্তরের কবি-
তোমায় তোমার জন্মদিনে কিভাবে করি বরণ ?
নিতান্ত অভাগা আমি এক !
শব্দে নেই যার গতি, ভাষায় নেই যার দখল,
ছন্দে নেই যার সুর মূর্ছনা , তানপুরার তার যার কাছে অচেনা ভারি
পদ্মা , ভাগিরথীর দু’কূল যার কাছে কেবলি ভাঙ্গন- সে , সে
কিভাবেই বা করবে বরণ তোমাকে তাঁর হাজারো ক্ষুদ্রতা নিয়ে কবি হে ?


তবুও মালা গেঁথেছি কবি তোমার তরে । কাশের গুচ্ছ আর
শেফালিকা দিয়ে ! নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে
নব প্রভাতের অধরা শিশির বিন্দু দিয়ে, নাম না জানা শত
ফুলের সুবাস দিয়ে আর অন্তরে যুগযুগ সঞ্চিত ভালবাসার
হাজারো অর্ঘ্য দিয়ে ! কবি, সে আজ এখন কেবলই প্রজাপতি
ভালবাসার মেয়ে, সে আজ এখন কেবলই তোমার মিতা
যে কেবল এখনও ভালবাসে তোমায় হাজারো বিষাদে
হাজারো নিষাদে, হাজারো অন্ধকারে , হাজারো বিস্মৃতিতে
হাজারো গ্লানিতে ! তোমার বাণী আজও যে তাঁকে দেখায়
উত্তরণের পথ শত অন্ধকারেও !!