গৃহ ছিল যার কাছে স্বপ্নের মন্দির
স্বামী, সন্তান ছিল ধ্যান জ্ঞাণ
যার কেটে যেত দিন হেঁশেলের আগুনে আগুনে
কখনও উঠোনে , মাচায় লাউয়ের ডগায়
মুরগীর ডিম গুনে , গরুর গোয়ালে
মাধবী লতার ঝাড়ে , কখন বা দাঁড়ে টানা
টিয়ে পাখিটার সনে , সে আমাদের মা !


তাঁর হাতের ছোঁয়া ছিল জানালার প্রতিটি শিকে
লাল রং মাখা ঘরের মেঝেতে , আলনার কাপড়ে
বিছানার টানটান চাদরে , বালিশের কভারে
লেপের খোলে , টিনের চালের পুডিঙে
বারান্দার সিঁড়িতে , পুকুরের ইট বাঁধানো ঘাঁটে
লেবু ,কূল , পেয়ারা আর ডাব গাছের ফাঁকে ফাঁকে !
তিনি ছিলেন , এখন নেই, কেন নেই
জানি না ! সব মাকেই যেতে হয় একদিন
আর একটা অচেনা শহরে , নিরিবিলি, সুমসাম
বকুল আর রজনী গন্ধার সনে !


তাই বুঝি তাঁর যাওয়া ! না হলে আমি জানি
কোনদিনও যেতেন না তিনি স্বপ্নের মন্দির
ছেঁড়ে ! স্বপ্নের মন্দির ছেঁড়ে মা আজ
হৃদয় মন্দিরে !!