প্রকৃতির অলংঘনীয় নিয়ম আর সময়ের কাঁধে চড়ে সে
পা রেখেছিলো একদিন দুস্তর পথে ! কেউ বলেনি তারে
পথের শেষে আছে  কোন সে পথ, যা কঠিন অথবা
কঙ্কর বালুময় ! সরল  বা কুসুমিত !
সে যেন এক ক্ষ্যাপা বাউল ব্যাকুল
শীর্ণ ঝুলি কাঁধে  চলেছে তো চলেছেই
খুঁজে পেতে সেই পরশ পাথর !


সে যখন ক্লান্ত , অবসন্ন , তৃষ্ণার্ত
ও মৃতপ্রায় পথের বাঁকে , মহাকাল তাঁর কানে কানে
বললে; ওরে অনেক হোয়েছে,এবার তুই একটু বিশ্রাম কর  !
সে কথা একটুকুও মনে ধরলোও না তাঁর ! মহাকাল কে
তাঁর সব কথা শুনতে হবেই হবে ? থেমে পড়তে হবে
পথের মাঝেই  !  তবে এতকাল ধরে কেন মালা গাঁথা
ফুল ফোটাবার খেলা খেলা,  নদী নদী ডূব চিৎ সাতার ?
রাশি রাশি অক্ষর, ঘুড়ি কাঁটা, লাটাই সুতো , কানামাছি ভোঁভোঁ ?
যাঁতাকলে কলাই পেষা , জুতো ক্ষয় ,পথ পথ হাঁটা ?
মিছিল , পতাকা , দেশ  ?


করজোড়ে  সে বললে ; প্রভু , আমায়
আর একটু সময় দাও আমাকে , আর একটু!
মহাকাল ঠোঁট টিপে হাসলো শূধু ; তা সম্মতির কিংবা
অসম্মতির , কিছুই বুঝলো না সে !
কেবল এক রাজঘুম জড়িয়ে এলো তার দু চোখে !


ঘুম ভেঙ্গে সে দেখলে
কিছুই মনে নেই তাঁর ! মনে নেই সেই মেঘ বালিকার খেলা
উষ্ণ দুপুর,সজীব সকাল কিংবা ভাট বিকেল বেলা !
মনে নেই কবিতার মালা গেঁথে আনমনে পথ চলা  
ঘড়ির কাঁটা টিকটিক, নীল সাগর জল
ভাসমান নৌকো , জেলের দল
ভোঁভোঁ বিলাতী জাহাজের সুর ! মনে নেই
বসন্ত বাতাস, কে একদিন নাম ধরে ডেকেছিলো
তারে মৃদু গাঢ় স্বরে ! মনে নেই, কিছুই মনে নেই তাঁর !


শুধু  মনে আছে তাঁর , মনে আছে তাঁর
মহাকালের সেই ঠোঁট টেপা হাসি !!!!