সেই সব ক্লান্তিকর বিষণ্ণ ছন্দহারা দিনে যখন  
ভাল লাগেনা কিছুই, নিজেকে নিজের কাছে
কেবলি মনে হয়   অসহ্য বোঝা , তখন কারো গভীর
মমতাময় হাতের স্পশ , ভুলিয়ে দেয় দেহ-মনের অবসন্নতা
ভুলিয়ে দেয় শতেক জ্বালা ! তখন নেই কোন কাজ
নেই  সময়ের হিসেব নিকেশ, ছুটি কেবলি ছুটি
এক লহমায় পালটানো সব বাঁধাধারা দৃশ্যাবলী
যদিও এমন ওলট –পালট চাওয়ার কারো
গরজ ছিল না কোনকালেই ( জনান্তিকে বলে রাখি
কাল পাল্টাচ্ছে  দ্রুত, দিনে দিনে পালটাবেই বা কত কি , সেই
ভয়েই থাকি সদাই শঙ্কিত) !


খুব  ছেলেবেলায় কুটি পাগলা আর কুটি পাগলির সংসার
দেখতে যেতেম বন্ধুরা মিলে লুকিয়ে চুপিয়ে
চাঁটাই বেড়ার  ফুটোয় চোখ গুঁজে কোনদিন দেখতে পেতাম
জগাখিচুড়ি রান্নাবাড়া শেষে, কাঁচাপাকা চুলের ছোট্ট খাটো
লোকটা পরম মমতায়  খাইয়ে দিচ্ছে তাঁর লিকলিকে
মিইয়ে পড়া বউটাকে,  আবার কোনদিন ঘটতো উল্টোটা !
বেশ লাগতো  দুজনার অনাবিল ভালবাসার
দৃশ্যগুলো দেখতে , যদিও অন্যায় , তবুও ছেলেবেলার
দুষ্টুমি !


সেই সব দিনগুলো যেন ফিরে আসে বিষণ্ণ  দিনগুলোতে
হয়তো বা হয়েছে পাত্র-পাত্রীর বদল । সিন্ধুতে সাঁতার
কাটতে কাটতে আবার বিন্দুতে ফিরে আসার দিন ঘনিয়ে
এসেছে দুটো মানুষের !  সাজানো বাগা্নের মালি যেন তাঁরা
ফুল গুলো ফুটে আছে থরে থরে , যার যার  নিজস্ব স্বপ্নের জগৎ এ
তবু ভাল থাক ওরা !
তাই  যেখান থেকে শুরু, ফিরে আসা
যেন সেখানেই আবার , বিষণ্ণ দিনগুলো সাক্ষী যেন তার !