পাহাড়ের বুকে আকাশ থেকে গড়িয়ে পড়া
ছোট্ট মুক্তো বৃষ্টি কণা , কোন এক শুভক্ষণে
পাহাড়ের কানে কানে তাঁর ভাললাগার কথা
জানালো !  পাহাড়ের মনে ক্ষণেক দোলা দিয়ে সে
নিবেদন আছড়ে পড়লো শ্বেত চন্দনের গায় !
চন্দনের গন্ধ সুধা বুকে ঢেলে সে জল বিন্দু থেকে
সিন্ধু পানে মিশে যাবার স্বপন দেখলো , মৃত্তিকা সুগভীর
মমতায় তাঁকে দেখিয়ে দিলে চলার পথ ! পাড়ি দেবার আগে
ব্যাকুল সুরে  সে শেষবারের  মতো পাহাড়ের কানে কানে
গেয়ে গেল , মনে রাখার গান !


তিরতিরিয়ে  চলতে চলতে   সে পাড়ি দিলো হাজারো পথ
পেড়োলো কতশত পথের বাঁক , পার হোল
কত  বন উপবন , কত  পথ উপপথ ! কত শত  নদ নদী
হ্রদ ,  উপত্যকা , গ্রাম আর নকশী কাঁথার ঘর !
তারপর একদিন সে  হোল বিশাল থেকে বিশালতর  
তাঁর দেহের  মন মাতানো ছন্দে ভরে গেল গগন তল
জল কল কল , জল ছল ছল ঝর্ণাধারা হোয়ে
সে পড়লো লুটিয়ে পাহাড়ের বুক থেকে  নীচে
আরও নীচে  , সুগভীর এক মহা সুরঙ্গ পথ বেয়ে
অচিন কোন এক রাজ্যে !


কোন একদিন গভীর রাত,রাত গভীর থেকে গভীরতর
চারদিক নীরব নিথর
কেবলি রাত জাগা ফুলের সুবাস, চাঁদের আলো
হু হু বাতাস আর  পাতার  মর্মর ধ্বনি !  কঠিন হৃদয়
পাহাড়ের মন হোল উতলা , চঞ্চল !  তাঁর মনে হোল ;
কে যেন  হাজারো বীণার তারে তারে , জল কল কল
জল ছল ছল সুরে  গেয়ে চলছে ,  পুরনো  কোন গান !
পাহাড় তাঁকে পাঠালে ভালবাসার ব্যাকুল অর্ঘ্য !
ছোট্ট মুক্তো বৃষ্টি কণা ফিরিয়ে নিলে সেই মনে রাখার গান !