এক
চারদিকটা জুড়ে মেঘ  থম থম
রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টি বৃষ্টি খেলা
আকাশের হাতে বন্দিনী যে মেয়েটি
তাঁর কাটে না দিন বেলা !
খেলছে আকাশ আজ  খেলুক খেলা
তাঁর কথা ভুলে টুলে আকাশের বুকে
ভাসানো ভাসানো স্বপ্নের ভেলা  !


দুই
বৃষ্টি বললো , যাবে সে আজ উত্তরে
একজনকে জানে  ,যার কেবলি মান  করে থাকা মনে মনে
জল এলেই সে এসে নির্ঘাত দাঁড়াবে উঠোনে উঠোনে
জলের তখন ফোটায় ফোটায় গড়িয়ে পড়া
মানিনীর  কৃষ্ণ কালো কুন্তলে !কুন্তলে !

তিন
পথ জুড়ে কোমর কোমর জল জল
কাদা কাদা ঘোলা  জলে জলে
কলার ভেলায় নৌকো নৌকো ভাসা
এপার ওপার দুপারে কেবলি তাঁর  মিছে মিছি
যাওয়া আসা !
নৌকো ভাবে , জলের বুকের মেয়ে কি সে
তাই যদি হতো , সে কেবলি জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেত
আমার শরীর কি তাঁর ছোঁয়া পেত!


চার
কালো ছাতার মাথায় টিপ টিপ টিপ টিপ
বৃষ্টি ফোঁটা ফোঁটা, ছাতাটি আজ সত্যিই যেন গোপন ত্রাণকর্তা
যে লোকটি আজ জলের কাছে ধরা , যেন বেঁচে থেকেও
মরা !আছে  তাঁর অফিস যাবার তাড়া
নেই বাস , পকেটে কম ট্যাক্সি ভাড়া !
পৃথিবী ভাসুক আজ ভাসুক জল জল ভারে
কবি কবি বউটি তার গানে গানে সুর তোলে !


পাঁচ
রাজকন্যের কোল ভারী , ফুল ফুল ফুল
সারা বাড়ি ! দেশ জুড়ে হাসি রাশি বাঁশি
বাজার জুড়ে নীল গোলাপির মাতামাতি !
সখিনা যায় বাপের বাড়ি , কাদায় কাদায়
পথ ভারী ! রায় হয়েছে , ছেলে হলে তবেই ফেরা বাড়ি
মেয়ে হলে বনবাস বাপের বাড়ি, মায়ের বাড়ি !
গরুর গাড়ির সখিনা আর আকাশ বুকের জল
গলে গলে এক হোল তাই , পৃথ্বী জুড়ে ঢল !