আমার বলে কিছু নেই , আমি কি আমার ?
জল গলে পরে যখন আকাশ থেকে মাটিতে , তা তখন
বারোয়ারি ছাতাদের , টুপ টুপ জল গায়ে মেখে জল ঝেড়ে ফেলা
অথবা ছাদের কার্নিশের জল প্রপাত সেজে ওঠা ক্ষণিকের জন্য
লেজ ঝোলা নীল পাখীটার বড় ভয় জলের , যদি পালক গড়িয়ে পরে
অথৈ জলে ? আমার জল জল খেলা হয়না বড় , জলের ভয় আর
বড় বেশি ভয় নিজেকে নিয়ে !


মাঝ রাতে দেয়ালের ছবিগুলো উঠে এসে বসে বিছানার পাশে
কখনও দুবেনী বাঁধা ছোট্ট কাল টিপ , কখনও সবুজ পাড়
হলুদ ঢাকাই শাড়ি , দু হাতে রিনি ঝিনি কাঁচের , খোলা চুল
আমি চিনেও চিনি না ওদের , কতকালের চেনা , তবুও অচেনা
আমি আমার আমিকে খুঁজি , জলে  স্থলে বনে ,  শূন্য আকাশে
মাটির অন্ধকার গহ্বরে !


কে যেন বলেছিল আমি নাকি তাঁর ! কে সে ? আমি মাঝে মাঝে
তাঁরে খুঁজি নিজেকে খোজার ক্ষণিক বিরতি দিয়ে ! সে হাসে ! আর
এই হাসি ভয়ানক ছোঁয়াচে , দেয়ালের পুরনো ছবিগুলোতে রঙ তুলির
নতুন প্রলেপ লাগানোর অব্যর্থ  দাওয়াই যেন ! তাঁর ভাবভঙ্গি দেখে আমার
হাসিও পায় , কান্নাও ! হাসি পেলে দেয়ালের পুরাতন ছবিগুলো
আনন্দে গড়িয়ে গড়িয়ে দোল খায় জানালার উড়ন্ত পর্দার  বুকে !
আর কাঁদলে ? ওরা জলের অদেখা আরশি গায়ে শূন্যে ভাসতে থাকে
ভাসতেই থাকে,ভাসতেই থাকে !