সুতোর মেয়েটি বারে বারে হোঁচট খায়
সুতোয় সুতোয় দারুন অমিল !
সোনার চামচ ঠোঁটে নিয়ে  জন্ম যার
তাঁর ভরাতে হয় না সুতোয় সূচ ! এ মেয়েটির
কপাল মন্দ ।  সুতোর কারখানায় কাটে দিন
কাপড়ের মালিকের হুকুম , পায়ের আওয়াজ
যেন না শোনে কেউ, হাসিরও! মালিকের
আলোকগন্ধা মেয়ের দুপায়ে সোনার নূপুর বাজে
রিন ঝিন , আর তাঁর কপাল জু্ড়ে চাঁদের হাসি
অবিরল গরিয়ে গরিয়ে পরে চারদিকে!


পায়ের আওয়াজ শোনে  না যেন কেউ
আওয়াজ কাণ্ণারও ! কাঁদতে ভুলে গেছে সে
হাসতেও,কেবলই কলের শব্দ , শব্দ মেশিনের
কাপড়ের খসখস,খসখস, সুতোর সূক্ষ্ম
দোলাচল সুঁইয়ের ডগায় !
মাথার উপর বনবন হাওয়া ঘোরে ,দিন যায়
রাত আসে,রাত যায় , দিন আসে !
পায়ের নূপুর তবু খুঁজে ফেরে তাঁরে !


সুতোয় সুতোয় দারুন অমিল
সহসা গজিয়ে ওঠা আকাশ ছোঁয়া দালান বাড়ির সাথে
ম্লানমুখো কুঁড়ে ঘরের যেমন ! হাসির সাথে কান্নার !
সোনার নুপুরের সাথে  বাজার থেকে কেনা
সস্তা  রুপোলী রঙ নুপুরের !মনের আওয়াজ শুনতে পায় না কেউ
রক্ষে তাই !কবে যেন হুকুম আসে
মন যেন না কয় কোন কথা !