জীবনের সীমানার গোধূলি বেলার শেষ প্রান্তে।
যেন মনে হয় শান্ত পৃথিবী আর নীল আকাশের মিলিত দিগন্তে।
অদৃশ্য বেড়ার ওপারে—
নিশীথের সীমাহীন গর্ভের গভীর অন্ধকারে।
ছুঁয়ে যায় এক অজানা অতিথী।
একদিন ছেড়ে যায় সব কিছু যা দিয়েছে আদরের পৃথিবী।


বদ্ধ জানালার ওপারের ঠিকানায়।
নিঃশব্দে প্রতীক্ষমাণ, যা কিছু আছে সবই অজানা অচেনা।
চুপ রয় শত হাজার বয়স্ক রজনী।
নীরবে লিখে চলে, সবার আড়ালে শত কত কাহিনী।


চির শান্তির মায়া, তার নিচে রেখে চলে কত ছায়া।
মেঘের ন্যায় উড়ে চলে সীমাহীন অনন্ত আকাশে।
ধীরে ধীরে মিশে চলে আগত আর গত বিশুদ্ধ বাতাসে।
হাজার নীরবতা ভেঙে অচিরে নক্ষত্র রাশি –
খসে যায় আর ঝরে পড়ে পৃথিবীর মাটির কোমল বুকে।
হাজার বেদনায়, যন্ত্রণায়? নাকি হাজার হাজার দুঃখে সুখে?


আজও অনাদরে,আদরে পড়ে রয় হিমশীতল স্তব্ধতায় মমী হয়ে।
মানবের সৃষ্ট আনন্দদায়ক যাদুঘরে।
না হয় ভগ্ন কঙ্কাল হয়ে  চিরকাল রয় মাটির কৃষ্ণ নীরব গহ্বরে।
অগ্নি গ্রাস করে মিশে যায় অনন্ত আকাশে বাতাসে।
ধীরে ধীরে চলে অদৃশ্য বেড়ার ওপারে- বছরের পরে বছরে।
হাজার হাজার বছর ধরে......
একটু একটু করে.........