ভেবোনা নিয়ে আমার, কভু দেখ না আর।
বন্ধ হোক আনন্দের দ্বার, বলছি বারবার।
বলি,আমি চন্দ্রমামা,বহু ব্যথা বুকে  আছে জমা।


বাঁশ বাগানের ফাঁকে ফাঁকে, একটু আমায় দেখে দেখে।
গান,ছড়া লিখা হল মাটির বুকে,ছড়ালো স্রোত  মুখে মুখে।
তখন আমি আনন্দ পাই, তবু আছে প্রাণে,মনে ভয়।


ঘুম পাড়ানী মায়ের মুখে, ছোট্ট শিশু মায়ের বুকে।
ঘুমিয়ে পড়ে আমার গানে,আশার, স্বপ্ন জাগে প্রাণে।
ভরিয়ে উঠে কানায় কানায়, তবু ভয়,মনের কোনায়।


এ সব কিছু আমার নয়,পাই রবির ভালবাসায়।
রবি আমার আদর করে, সাজিয়ে রাখে বহু বছর ধরে।
বলি,রেখো তারে নিজের মনে,প্রতি হৃদয়ের কোণে কোণে।


জ্যোৎস্না মাখা গভীর রাতে,লক্ষ তারার সাথে সাথে।
ছন্দ,ছড়া ,মধূর গানে, ছুটল যেন ভাটার টানে।
ব্যস্ত ওঁর, আমার বর্ণনায়, কবির মনের আশায়।


মা, ভাতের থালা নিয়ে হাতে, ছড়া বলে সাথে সাথে।
মায়ের আদর  “খোকা তুই একটু ভাত খা,চাঁদ মামা তুই টিক দিয়ে যা”।
কোথায় টিক? কোথায় কাজল? ভেবে ভেবে হলাম পাগল।


গল্প,ছড়া কত কত, লিখলো তাঁরা শত শত।
আমার প্রাণের জ্যোৎস্না, মনের আঙ্গিনায়।
ইহা আমার নয়, মনে শান্তি নাই,শুধু লাগে ভয়।


ভেবোনা মোদের চন্দ্রমামা, গাইছি তোমার জয়ও গান।
তুমি সবার প্রেম, স্বপ্ন, ভালোবাসার দান।
দুঃখ নিওনা নিজে নিজে, রেখেছি তোমার মনের মাঝে।


ক্রমশঃ------চলবে
.............................................।।
রচনাঃ ২০০২