বন্দী আমি, বন্দী ওগো,
আমি বদ্ধ খাঁচার পাখি।
জন্ম থেকে বন্দী হয়ে,
জ্বলে পুড়ে হলাম আমি দুঃখী।


রুপে ভরা, সুখে ভরা,
এই সুন্দর ধরা, আমি নাহি দেখি।
মনটি ফাটে,দুঃখ নিয়ে রাতটি কাটে,
বুজে আসে মোর দুটি আঁখি।
আমি বদ্ধ খাঁচার পাখি।


করুণ ব্যথায় তোমায় বলি,
খাঁচার মাঝে কোথায় সুখ?
বদ্ধ খাঁচায় বন্দী আছে,
হাজার হাজার শত দুঃখ।


বুকটি ফাটে ব্যথায় ব্যথায়,
অশ্রু ঝরে কথায় কথায়।
কাকে গিয়ে বলি,
বুক ফাটে, ফুটেনা মুখ,
বল দেখি, কোথায় আছে সুখ?


সকাল বিকাল খেতে পাই,
ভাত মুড়ি, মটর দানা।
করুণ চোখে তাকিয়ে দেখি,
গরুর শিশু ক্ষুধায় রয়,
গৃহস্থ খায় দুখ,দই ছানা।


তবু ভালো,আছে সুখে,
নিয়ে আপন সংসার।
বুকে আছে বড় ব্যথা,
নেই মোর কোন পরিবার।


আমি কেন বন্দী ওগো?
আমার কাছে কিছুই পায়না তারা?
জন্ম থেকে বন্দী আমি,
কেন খাঁচায় ভরা?


জ্বলে পুড়ে মরি ওগো,
বদ্ধ খাঁচার আগুনে।
বহু আশায় স্বপ্ন দেখি,
আসবে আমার বাবা-মা, আপনজন।
আগামী বসন্তের ফাগুনে।


আশায় আশায় বেঁচে আছি,
গড়বো সংসার এই জীবনে।
পাবো শান্তি? হবো মুক্ত?
আধ মরা এই জীবনে।
নাকি সব শেষ হবে মরণে।


.......................................
রচনা ইংরাজিঃ ০৫.০৯.২০১৭
নগর, মুর্শিদাবাদ