রবিকে জানাইয়ে, আসিল আঁধার ঘনাইয়ে।
লইল বিশ্রাম দিবাকর, অল্প ক্ষণিকের তরে।
মাটির পিদিম হাসিয়া জাগিল পল্লীর ঘরে ঘরে।


ক্লান্ত রবি,দিল কিরনের ছবি, ডাকিয়া চন্দ্র শশীকে।
করিল আদেশ,বলিল জাগো জাগো! লক্ষ তারারাশিকে।
আসিয়া আঁধার, কালো ঘুট ঘুট হইল চারিধার।
সচল দুই আঁখির রশ্মিমালা হইল শেষ,এক নিমেশে।


হাসিল শশী,বেনুবনের  ফাঁকে ফাঁকে।
আনন্দে আসিল নিশাচর ঝাঁকে ঝাঁকে।
নিস্তব্ধ,নিঝুম পল্লীর পথ ঘাট,
শুন্য সেথা সোনার সবুজ মাঠ।


আঁধারে আঁধারে,পল্লীর ধারে ধারে।
আলো ছড়াইয়ে-আসিল জোনাকি---
কাননে কাননে-শুধু এক মনে।
সুর ছড়াইয়ে গাহিল মধূ মালতী—


মত্ত মাদল,হইয়া পাগল,
ভাসিয়া আসে সাওতালীয়া সুর—
বন কুঞ্জে, রাত্রির গ্রাম-গঞ্জে-
কাহারা রচিল প্রেম স্বপ্ন মধূর—


মায়ের আচলে,শিশুরা সকলে-
চন্দ্রমামার গান,শুনিয়া যায় ঘুমন্তলোকে।
প্রেমের ছায়ায়,মায়ের মায়া মমতায়-
স্বর্গ ছুটিয়া, নামিয়া আসে মত্তলোকে।