জননী বাংলা
     মহঃ সানারুল মোমিন


অমৃত জল ধারা বুক চিরে যায়, দুইধারে তৃণলতা বৃক্ষ সারি সারি।
আছে সেথা বুকের মাঝে অমৃত ভাষা,বাংলা জননী নাম যে তারি।  
সেথা আছে  প্রেমের বন্ধন,শত সুখ  মেঘনা যমুনার  তীরে তীরে।
সেথা খেলে পাখপাখালী হাজার মৎস্য,রুপালী জলের ধারে ধারে।


আম জামরুল নারকেল সবুজ ধানের ক্ষেত-মাঝে শালিকের গান।
মায়ের প্রেম প্রতিবেশীর ভালোবাসা,শীতল বায়ু জুড়ায় সবার প্রাণ ।
চেয়ে দেখো প্রত্যহ-পল্লীর প্রাণের পিতা মাতা গুরুজনের সংসারে।
আজও আছে মায়া মমতার প্রেমের বাঁধন,হাজার লক্ষ বৎসর ধরে।


সকালে বিকালে কুরাণের পুরাণের,পালা পার্বণে শুনি  অমৃত বানী।
নানা জাতীর নানা সন্তান,বুকের সুধার বাঁধনে রেখেছে বাংলা জননী।
নদীর বুকে ভাটিয়ালী সুর,পল্লীর পথে বাউল গান,এ যে মায়ের দান।
সকলের মাঝে বেঁধেছে বাঁধন বাংলা ভাষায়-  জননীর শ্রেষ্ঠ অবদান


ভেকিতে মায়েরা ধান ভানে,বাড়ির অঙ্গনে-মুখে থাকে মধুর সুর।
সেই সুরেতে রবি সদা হাসে আকাশ তলে –ছড়ায়ে সোনা রোদ্দুর।
নদী বুকে,মাঝি পাল তোলে,তাঁতি তাঁত বোনে,খড়ে ছাওয়া আঙনে ।
বাউল সাধক সাই নানা গান গায়-নানা মেলা নানা পালা পার্বণে।


নানা ধর্মের নানা জাতির নানা গান সুরের মধুর বন্ধনের সমাবেশ।
এ আমার বাংলা জননী,হৃদয়ের সম্পদ এ যে বিধাতার অপরূপ বেশ।