বাংলার মাঠে,                   নদীর ঘাটে
        মধুর সুরে বাজে রাখালের বাঁশি।
বাংলা প্রাণ,                    বাজে মনে গান
         বাংলা মাকে খুব ভালোবাসি।


মাঠের ফসল,                  দীঘির কমল
          মাথা দুলে যেন ডাকে।
হৃদয় আমার,                 হৃদয় তোমার
           চিনে শুধু বাংলা মাকে।


গ্রাম পল্লীর বাঁকে,            গুল্মলতার শাঁখে।
              বিহঙ্গ পতঙ্গ নাহি চুপ।
সদা সুর বাজে              নব নব সাজে
         “মা”কে দেখি কি অপরূপ।


দিয়েছে সদা,                মুখে অমৃত সুধা।
             কি অপরূপ বাংলা ভাষা।
বাংলার মাটি                 স্বর্ণ চেয়েও খাঁটি
         জন্ম নিয়ে সার্থক মোর আশা।


বাংলায় শুনি,                 সদা অমৃত বাণী,
           বাউল সুরে প্রেমের গান।
নদীর বুকে,                  মহানন্দে সুখে,
          ভাটিয়ালী সুর,জুড়ায় প্রাণ


আমি বাঙালী,               গর্বে কন্ঠে বলি,
            বাংলা পুণ্যভূমি, পুণ্যধাম।
বাংলার পদতলে,           সব কিছু ফেলে-
           সদা জানাই অয়ুত প্রণাম।


...............................................................।
আমার আগামী কবিতা-
“শত প্রণাম একুশে ফেব্রয়ারী” –


নয় সর্বনাশ  মাস            ছিল দৃঢ় বিশ্বাস
              হাজার বাঙালীর প্রাণে।
বাংলা ভাষা থাকবেই       হাজার বাঙালী জাগবেই।
         “মা”হবে মুক্তি সন্তানের বলিদানে।


একুশের আহ্বানে        ছিল প্রস্থুত বলিদানে,
          হাজার বাংলার আপন সন্তান।
মুখের মধুর ভাষা         বুকের লক্ষ স্বপ্ন আশা
        রাখতে,বলী হলো সতেজ লক্ষ প্রাণ


হৃদয়ের কানে শুনি         একুশ ছিল আগামীর বাণী।
        একুশ দিয়েছি বাংলার পূর্ণতা।
শত সংগ্রামে,             বিপদ পদে পদে নেমে।
       বাংলা “মা” পেয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা।