কি দারুন বেদনা আর যন্ত্রণা?
পেয়েছি হাজার হাজার বছর ধরে।
হয়েছি ব্যবহার, একটু একটু করে, ধীরে ধীরে,
বুকের পাঁজরে, হৃদয়ের গভীরে,
সঞ্চিত থাকা সমস্থ কিছু নিয়ে,
গড়েছো আমার বুকের উপর স্বপ্নের সভ্যতা।


কমে গিয়েছে সব কিছু হচ্ছে বিলীন,
হারিয়েছি আমি সৃষ্টির উর্বরতা।
আমি যে এখন বড় অসহায়,
ক্ষণে ক্ষণে জাগে মনে ভয়।
আমি বন্ধ্যা,কমে যাচ্ছে উৎপাদনের ক্ষমতা।


করেছি ধারণ, করেছি বহুবার বারণ।
নদ-নদী,গাছপালা,পাহাড় পর্বত-
রেখেছি আমার বুকের মাঝে।
করেছো আমার বহু অবহেলা।
ব্যস্ত থেকেছো তুমি নিজে শত শত কাছে।


ফাটিয়েছ আমার বুকটি, বেধেছো আমার মুখটি-
মণিমুক্তা,খনিজ তৈলর লোভে।
গভীর গহনে, কেঁদেছি এক মনে-
বলিনি কাউকে কিছু, হৃদয় ফেটেছে ক্ষোভে।


বুকের মাঝে লোহার বর্শা মেরে এনেছো,
সাধের প্রাণের জলধারা।
পিপাসিত মন করেছো শান্ত,
আর করেছো অপচয়, হয়েছি আমি আধমরা।


চষেছো হৃদয়, হয়ে নির্দয়,
ফলিয়েছো বুকে শত শত সোনার ফসল বারে বারে।
সহেছি সহ্যহীন যন্ত্রণা, মনের বেদনা।
কখন বেশি বেশি, কখনও বা ধীরে ধীরে।


বুকটি জ্বলে, তোমাদের সৃষ্ট দাবানলে।
কুলষিত করেছে,  গন্ধ,বজ্য,আবর্জনা,
কেড়েছো সব কিছু স্বচ্ছ নদী,নালা আর মোহনা।


রেখেছো বারুদের স্তুপ, মোর বুকের পাঁজরে,
ঘটিয়েছ ঘনঘন আনন্দের বিষ্ফরণ।
করেছো আহবান,বারবার ডেকেছ মরণ।


আমার বুকের অন্তরে রয়েছে যারা,
বহুবার তাদের রক্ষার  করেছো অঙ্গীকার।
কই ? আমার জন্য ভেবেছো-? ভাবোনিত একবার।


কংক্রিট আর অট্টালিকার বাগান গড়ে,
দেখি হাজার হাজার ইটপাথরের টুকরো মোর বুকেতে পড়ে।
বলো, দেখি থাকবে কি উর্বরতা?
বাঁচবে তোমাদের স্বপ্নের সভ্যতা?


..........................................।।


রচনাকালঃ ৩রা আগষ্ট-২০১৭
মধ্যরাত্রি।
নগর,মুর্শিদাবাদ,পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ