শরতের মেঘছানা-
উড়ে যেতে যেতে।
ঝরে পড়ে আদরেতে,
সোনা ধান ক্ষেতে।


রোদছায়ায় লুকোচুরি,
রোদ-মেঘের আড়িআড়ি।
খেলা করে গগনে,
ঝরে পড়ে কাশবনে।


সাদা মেঘে ভরে আছে,
আকাশের আঙিনা।
সদা যেন মনে হয়,
নদী খুঁজে মোহনা।


ভুলে গেছে মধুকর
ফুলের মধু খেতে।
উড়ে যায় দিকে দিকে
সোনার আলোয় মেতে।


এল আজ শিউলী
সাদা-লাল শাড়ি পরে।
সকালে নেমে আসে
নদীর ঐ পাড়ে।


রামধনূ রঙ খোঁজে
প্রজাপতির কাছে।
সব রঙ সাদা আজ
কাশবনের গাছে।


মেঘ ভেঙে ঝরে পড়ে
সুমধূর ঝর্ণায়।
পূর্ণিমার চাঁদ হাসে
নেমে আসে জ্যোৎস্নায়।


নদীতীরে বসে আজ
নানা পাখিদের মেলা।
কিচিমিচি কথা কয়
কাটায় সারা বেলায়।


জোনাকিরা জেগে থাকে
নিশি কালো রাতে।
শুধু যেন মনে হয়
প্রদীপ জ্বলে ধানক্ষেতে।


আকাশ বাতাস আনন্দে
শুনে কাদের ধ্বনি?
কাশফুল হেসে হেসে
শুনায় কার বানী?


দিকে দিকে আলো ঢালে
রবি শশী তারা-
কার যেন আহ্বানে
ধরা(পৃথিবী)দেয় সাড়া?


নানা ফুলে শত রঙে
কত আঁকে ছবি।
কার ডাকে জেগে ওঠে
মোদের প্রাণের রবি।


...........................।।
...........................।।
১০.০৯.২০১৭
নগর, মুর্শিদাবাদ-